মোঃ ইকবাল হাসান সরকারঃ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বিএনপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ‘ নির্বাচনকালীন সরকার ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘ বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা আগামী নির্বাচন করতে চাই। আমরা খালি মাঠে গোল দিতে চাই না।’তিনি বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চাই। আর এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে নির্বাচনমুখী প্রতিটি দল প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু করেছে। বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি জ্বালাও- পোড়াও করে সরকার পতন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের মানুষ অতীতের মতো বিএনপিকে আর কোনো ধরনের নাশকতা করার সুযোগ দেবে না। তিনি বলেন , বিএনপি সহিংসতা করে নির্বাচনের মাঠে ফাউল করলে দেশের মানুষ তার সমুচিত জবাব দেবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি বর্তমানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে সে সরকারকে তো তারাই ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে জোর করে ওই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা না করলে দেশে এ ধরনের পরিস্থিতি কখনো হতো না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সরকারই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছিলেন। আর এই মামলাতেই তিনি কারাগারে রয়েছেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রীমোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আর এ পাপের জন্যই খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলে গেছেন। আর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে জেল থেকে মুক্তিপেতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তার আইনজীবীদের পরিবর্তন করা দরকার। কারণ তার আইনজীবীদের ভুল পরামর্শের জন্যই তিনি তার বাড়ি হারিয়েছেন। বিএনএফের চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান মমতাজ জাহান চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতাউর রহমান খান, মোস্তফা বাবুল, অ্যাডভোকেট এস এম ইসলাম ও মো. খালিদ হোসেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩মার্চ২০১৮/ইকবাল